
প্রিয় কুমিল্লা ডেক্স :
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক কর্তৃক উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. মোস্তফা জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যম ও সোশ্যালমিডিয়ায় অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবদল। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগী মোস্তফা জামান বলেন, গত সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় একজন বৃদ্ধ রোগীকে তাঁর বাড়িতে আনা হয়। বাড়িতে ওই বৃদ্ধা রোগীকে পৌছে দিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি আবার ঢাকার উদ্দেশ্য ওই এলাকায় থেকে রওনা হয়ে চান্দলা টানাব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে তখন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তাঁর সঙ্গে আরও ১৫-২০ জন লোক নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটিকে আটক করে এর চালক ও সহযোগীর কাছে চাঁদা দাবি করে। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ফারুক চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন চালক ও চালকের সহযোগীকে মারধর করে এবং এক পযায়ে চালককে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি ফারুক চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার সহযোগীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং টাকা ছিনিয়ে নিয়ে। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে একটি গর্ত তে গাড়িতে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় এ্যাম্বুলেন্সের মালিক ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও চান্দলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোস্তফা জামানের নিকট সহযোগিতা চাইলে তিনি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান এবং ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করতে গেলে ফারুক চেয়ারম্যান পুলিশের হেফাজতে এ্যাম্বুলেন্সটি দিতে অসম্মতি জানান এবং এ্যাম্বুলেন্সটিতে মাদক আছে বলে দাবি করলে ফারুক চেয়ারম্যান উপস্থিত জনরোষে পরেন। এসময় পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং ফারুক চেয়ারম্যান দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বিভিন্ন মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি তার অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ফারুক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।